নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দরপত্র (এমআরএস) দাখিল নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুপুর পৌনে ২টার দিকে রোববার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। অপরাধীদের বিচার না হলে আজ থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতৃত্বে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। বিচার না পেলে হাসপাতাল-চেম্বার বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন তারা।

তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের অভিযোগ, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে ৬০-৬৫ জনের একটি দল ২০২১-২২ অর্থবছরের টেন্ডার (এমআরএস) দাখিল করার জন্য আসেন। এ সময় শিহাব উদ্দিন শাহীন ও তার অনুসারীরা তত্ত্বাবধায়কের কাছে টেন্ডারের শিডিউল চান। অফিসের কর্মকর্তাদের টেন্ডার শিডিউল তৈরি করে দিতে বলি। কিন্তু দেরি করায় শিহাব উদ্দিন শাহীনের উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা আমার গায়ে হাত তোলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরপরই হাসপাতালের মূল ফটকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ারুল আজিমের নেতৃত্বে হাসপাতালের ডাক্তার, ওয়ার্ডবয় ও নার্সরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভকারীরা শাহীনের বিরুদ্ধে ফটকের ভেতরে স্লোগান দিতে থাকেন। তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছনার বিচার না হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মবিরতি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, শিডিউল কিনতে আমার সঙ্গে কেউ হাসপাতালে যায়নি। অন্য অনেক ঠিকাদার শিডিউল কিনতে হাসপাতালে যান। সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান জানান, ডাক্তার ও কর্মচারীরা তার অনুরোধে কাজে ফিরেছেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আজিম জানান, তারা মামলা করবেন। নোয়াখালী স্বাচিপ সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান বলেন,

হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা ছাড়া সব বিভাগে ধর্মঘট চলছে। আজ সকাল থেকে স্বাচিপ ও বিএমএর নেতৃত্বে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও জেলা শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলবে। জড়িতদের বিচার না হলে সব হাসপাতাল, চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হবে। হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে মারধর করা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।